Authentication, Authorization, এবং Encryption এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ধারণা, যা সফটওয়্যার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক, এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হয়। এদের প্রতিটির উদ্দেশ্য এবং প্রয়োগ ভিন্ন, তবে একত্রে এরা একটি সিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।
১. Authentication (প্রমাণীকরণ)
Authentication হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোনো ব্যবহারকারী, ডিভাইস বা অ্যাপ্লিকেশন সত্যিই সেই ব্যক্তি বা সত্তা কি না তা যাচাই করা হয়। সহজ কথায়, Authentication প্রমাণ করে যে ব্যবহারকারী বা সিস্টেমটি বৈধ এবং অনুমোদিত।
Authentication-এর প্রকারভেদ:
- পাসওয়ার্ড ভিত্তিক: ব্যবহারকারীর পরিচয় প্রমাণ করতে সাধারণত ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়।
- টোকেন ভিত্তিক: সিস্টেম একটি টোকেন প্রদান করে, যা ব্যবহারকারী তার পরিচয় নিশ্চিত করতে ব্যবহার করে।
- বায়োমেট্রিক: ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস আইডি, রেটিনা স্ক্যান ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
- মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (MFA): একাধিক অথেনটিকেশন ফ্যাক্টর যেমন পাসওয়ার্ড ও টোকেন একসঙ্গে ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ:
- কোনো ওয়েবসাইটে লগইন করা।
- ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ফোন আনলক করা।
২. Authorization (অনুমোদন)
Authorization হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সিস্টেম নির্ধারণ করে যে প্রমাণিত ব্যবহারকারী কোন সম্পদ বা তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারবে। এটি ব্যবহারকারীর এক্সেস লেভেল বা অনুমোদিত কার্যক্রম সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়। Authentication যেখানে প্রমাণ করে "ব্যবহারকারীটি কে", Authorization সেখানে নির্ধারণ করে "ব্যবহারকারীটি কি করতে পারে"।
Authorization-এর প্রকারভেদ:
- রোল ভিত্তিক এক্সেস নিয়ন্ত্রণ (RBAC): ব্যবহারকারীকে তার রোল অনুযায়ী অনুমতি প্রদান করা হয়।
- অ্যাক্সেস কন্ট্রোল লিস্ট (ACL): নির্দিষ্ট ব্যবহারকারী বা গ্রুপের জন্য বিভিন্ন সম্পদের এক্সেস নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
- অবজেক্ট-ভিত্তিক অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ: ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট অবজেক্টে কোন ধরনের অ্যাক্সেস পাবে তা নির্ধারণ করা হয়।
উদাহরণ:
- একজন ব্যবহারকারী সফলভাবে লগইন করার পর শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত তথ্য দেখতে পারে।
- অ্যাডমিন ব্যবহারকারীরা একটি ওয়েবসাইটে অন্যান্য ব্যবহারকারীর ডেটা সম্পাদনা করতে পারে।
৩. Encryption (এনক্রিপশন)
Encryption হলো একটি নিরাপত্তা প্রক্রিয়া, যা কোনো তথ্যকে এমন একটি কোড বা এনক্রিপ্টেড ফরম্যাটে রূপান্তর করে, যাতে শুধুমাত্র অনুমোদিত পক্ষের জন্যই সেই তথ্য পাঠযোগ্য হয়। মূলত, Encryption তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করে। কোনো তৃতীয় পক্ষ যদি এনক্রিপ্টেড তথ্য চুরি করেও, সে সেই তথ্যটি বুঝতে পারবে না।
Encryption-এর প্রকারভেদ:
- সিমেট্রিক এনক্রিপশন: একই চাবি দিয়ে তথ্য এনক্রিপ্ট এবং ডিক্রিপ্ট করা হয়। যেমন AES।
- অ্যাসিমেট্রিক এনক্রিপশন: এনক্রিপ্ট এবং ডিক্রিপ্ট করার জন্য দুটি আলাদা চাবি (পাবলিক এবং প্রাইভেট কী) ব্যবহার করা হয়। যেমন RSA।
- হ্যাশিং: এনক্রিপ্টেড তথ্য পুনঃউদ্ধার সম্ভব নয়। হ্যাশিং সাধারণত পাসওয়ার্ড সুরক্ষায় ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
- একটি মেসেজ এনক্রিপ্ট করে প্রেরণ করা, যা শুধুমাত্র প্রাপকই ডিক্রিপ্ট করতে পারবে।
- ব্যাংকিং তথ্য এনক্রিপ্ট করে সংরক্ষণ করা যাতে হ্যাকাররা এই তথ্যকে অনুপ্রবেশ করতে না পারে।
Authentication, Authorization, এবং Encryption-এর মধ্যে পার্থক্য
| বৈশিষ্ট্য | Authentication | Authorization | Encryption |
|---|---|---|---|
| উদ্দেশ্য | ব্যবহারকারী বা সিস্টেমের পরিচয় যাচাই | নির্ধারণ করা, কোন ব্যবহারকারী কি করতে পারবে | তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করা |
| প্রক্রিয়া | ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড, টোকেন, বায়োমেট্রিক | রোল বা পলিসি নির্ধারণ | এনক্রিপ্ট করা ও ডিক্রিপ্ট করা |
| উদাহরণ | লগইন প্রক্রিয়া | ফাইল বা ডেটাবেসের এক্সেস কন্ট্রোল | মেসেজ এনক্রিপ্ট করে প্রেরণ করা |
| কখন ব্যবহৃত হয় | ব্যবহারকারী সিস্টেমে প্রবেশের সময় | ব্যবহারের অনুমতি নির্ধারণের সময় | ডেটা ট্রান্সমিশন বা স্টোরেজের সময় |
সংক্ষেপে
- Authentication যাচাই করে যে ব্যবহারকারীটি বৈধ কিনা।
- Authorization নির্ধারণ করে যে ব্যবহারকারী কোন সম্পদ বা অ্যাকশন অ্যাক্সেস করতে পারে।
- Encryption তথ্যকে কোডে রূপান্তর করে, যাতে অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ তা পড়তে না পারে।
Authentication, Authorization, এবং Encryption এই তিনটি প্রক্রিয়া সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এদের সঠিক ব্যবহার একটি সিস্টেমকে আরও নিরাপদ এবং ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক।
Read more